সবাই টিকা নিতে চান। কারণ করোনাভাইরাসকে রুখতে হবে। বাংলা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা দানে রেকর্ড করেছে। কিন্তু তারপরও মঙ্গলবারের অপ্রীতিকর ঘটনা গোটা বিষয়টির তাল কেটে দিয়েছে। টিকার লাইনে হুড়োহুড়ি–বিশৃঙ্খলা এবং তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। এমনকী তা নিয়ে রাজনীতি করতেও শুরু করে বিজেপি। এই পরিস্থিতি যাতে আর না হয় তাই বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এই টিকা নিতে ভোরবেলা থেকেই লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমন হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার ধূপগুড়ির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে জখম হন ২৫ জন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একসঙ্গে ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
এবার থেকে এই পরিস্থিতি এড়াতে বাড়িতে বাড়িতে টিকার কুপন দেওয়া চালু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটাকে অনেকে ‘দুয়ারে কুপন’ বলছেন। আশা কর্মী এবং এএনএম কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে কুপন দিয়ে আসবেন। যাদের কাছে কুপন পৌঁছবে তারাই টিকা নিতে আসবেন। তাহলে ভিড় হবে না। ভিড় যাতে না হয় তার জন্য সময়ও ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা।