আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে আসন পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়াও। বুধবার কমিশনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। রাজ্যের ২০টি জেলার জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ২০১৮ সালের তুলনায় আসন বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের খসড়া তালিকা অনুযায়ী জেলা পরিষদে বাড়তে ১০৩টি আসন। অন্য় দিকে পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ২৮১টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১৩,৭১২টি আসন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জেলা পরিষদে আসন সংখ্য়া রয়েছে ৮২৫, খসড়াতে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯২৮টি। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা রয়েছে ৯,২১৭ তা বাড়িয়ে ৯,৪৯৮ করা খসড়া প্রস্তাবে। গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন রয়েছে ৪৮,৬৫০টি, কমিশন তা বাড়িয়ে করতে চায় ৬২,৩৬২।
এই খসড়া তালিকা নিয়ে কোনও আপত্তি বা কোনও সংশোধনের প্রস্তাব থাকলে তা ২ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনে জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ। রাজ্য নিবার্চন কমিশন বা সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাতে হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সংশোধনের কাজ শুরু হবে। কমিশন সূত্রে খবর ৭ থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শেষ হবে। সেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে।
এই আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হওয়ার পর আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু করবে কমিশন। ডিসেম্বর মাস জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি পদে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি কাজ চলবে বলে কমিশন সূত্র জানা গিয়েছে।
গরমের দাপট এড়াতে আগামী বছরের গোড়ার দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের, তা যদি সম্ভব না হয় তবে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর মার্চ-এপ্রিল মাসে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। কারণ, সূচি অনুযায়ী আগামী বছর মে মাসে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হওয়ার কথা।