কলকাতা, শহরতলি এবং জেলা - লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এমনকী রাজ্যের অন্যত্র চালু হয়েছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনও। এবার উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে উত্তরবঙ্গে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করার অনুরোধ জানান রাজ্যের পরিবহনসচিব রাজেশকুমার সিং
আর তখনই বেশ কয়েকটি রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিল রেল। রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে, উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তাদের একটি চিঠিতে কয়েকটি লোকসানের মুখে পড়া রুটের ট্রেন বাতিল রাখতে বলা হয়েছে। সুতরাং প্যাসেঞ্জার চালু পরে হলেও লোকাল চালু হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে যাতে দ্রুত প্যাসেঞ্জার চালু হয়, তার জন্য এই এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিন অনুরোধ জানিয়েছিল রাজ্যকে। তাই পরিবহন দফতর থেকে রেলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘রাজ্যের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে ওই চিঠি এসে থাকলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুখ এই কথা বলা হলেও লোকসানে থাকা কয়েকটি রুটে প্যাসেঞ্জার এবং ডেমু ট্রেন আর চালাতেই চায় না রেল। রেল বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, ডেমু, ইন্টারসিটি, প্যাসেঞ্জার ট্রেন মিলিয়ে ২১ জোড়া ট্রেন বাতিল রাখা হবে। সেগুলির মধ্যে মালদহ–বালুরঘাট, নিউ জলপাইগুড়ি–আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার, শিলিগুড়ি–বামনহাট, শিলিগুড়ি–দিনহাটার মতো ট্রেনও রয়েছে।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে বড়লোকদের বেশি টাকায় পরিষেবা দিতেই এই সব করছে রেল। সাধারণদের কথা ভেবেই ট্রেনগুলি চালাক রেল।’ তবে রেলের এই সিদ্ধান্তে উত্তরবঙ্গের পর্যটন মার খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।