রাজ্যে কর্মতীর্থ কেন্দ্রগুলি চালু হলে সে ক্ষেত্রে বহু যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই কর্মতীর্থ কেন্দ্র চালু না হওয়ায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগেই আম আদমি পার্টি কর্মতীর্থ কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তবে রাজ্য সরকার কর্মতীর্থ কেন্দ্রগুলিকে সচল করতে উদ্যোগী হয়েছে। এনিয়ে গত বুধবার জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে কর্মতীর্থ কেন্দ্রগুলি সচল করার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সে নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কয়েকদিন পরেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে এই কর্মতীর্থ কেন্দ্রগুলি সচল করতে চাইছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ১৫ মে’র মধ্যে কর্মতীর্থ কেন্দ্রগুলি সচল করতে বলেছেন মুখ্য সচিব। সে ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে যে সমস্ত যুবক যুবতীরা আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যের কর্মতীর্থ কেন্দ্রগুলিতে পড়ে থাকা তিন হাজারের মধ্যে দেড় হাজারের বেশি স্টল দরপত্র ডেকে আবেদনকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেইসব স্টল দ্রুত চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যারা এখনও স্টল চালু করতে পারিনি সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যক্তি এককভাবে স্টল চালাতে না পারলে সেক্ষেত্রে কোনও গোষ্ঠী স্টল চালাতে পরবে। কর্মতীর্থ কেন্দ্রে বাংলা ডেয়ারির স্টল খোলা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ১৫ মে। এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।