সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা ধর্মীয় কাঠামো ভাঙার নির্দেশ দিয়ে চিঠি গেল ৮ জেলাশাসকের কাছে। 'দখল' জমি উদ্ধার করতেই নবান্নের তরফে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয় আট জেলার প্রশাসককে। নির্দেশ অনুযায়ী কাঠামো সরিয়ে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
সরকারের পাঠানো নির্দেশিকায় নবান্নের তরফে বলা হয়, 'পালবিক প্লেস' বা সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ মন্দির বা মাজারের কাঠামো সরিয়ে ফেলতে হবে। এই কাঠামোগুলির জন্য জনস্বার্থমূলক প্রকল্প বাধাপ্রাপ্ত হয়। রাস্তা সম্প্রসারণ করা যায় না।' জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় কাঠামো সরানোর এই নির্দেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দিলেও এই নীতি চালু হয়েছিল বাম জমানায়। ২০১০ সালে এই সংক্রান্ত 'অন রিমুভাল অফ আনঅথরাইজড টেম্পলস অ্যান্ড স্রাইনস, এটস্যাটরা ফ্রম পাবলিক প্লেসেস' গেজেট নোটিফিকেশন করেছিল সরকার। সেই নীতি অনুযায়ী রাজ্যের আটটি জেলায় এই ধরনের কাঠামো সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি গেল। জেলাশাসকদের চিঠি পাঠানো চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে আট জেলার পুলিশ কমিশনার এবং জেলার পুলিশ সুপারদেরও।