নির্বাচনের দিন নন্দীগ্রামের এই বয়ালের এক বুথেই দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার পর ফের একবার খবরের শিরোনামে বয়াল। বয়ালের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে সেই অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রধান পবিত্র কর। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের ইস্যু করা অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বয়াল ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছিলে পবিত্র কর। সেই সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর গত ২৮ মে পবিত্রবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। বিডিও এই অনাস্থা প্রস্তাব দেন। তবে এর বিরোধিতা করে বিজেপি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পবিত্র করের অভিযোগ, এই সব ক্ষেত্রে নোটিশ বাড়ি বা অফিসে পাঠাতে হয়। তবে আইন মেনে তা করা হয়নি। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বৈঠক ডাকা যায় না। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা ভঙ্গের সামিল তা।
যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের যুক্তি ছিল, পবিত্রবাবুকে অফিসে পাওয়া যায়নি, তাই নোটিশ সেখানে পাঠানো যায়নি। তাছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ সদস্যের মধ্যে ৮ জনই পবিত্রবাবুর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তাই পবিত্রবাবুর আর্জি খারিজ করার আবেদন জানানো হয় রকারের তরফে। তবে রাজ্যের সেই দাবি মানা হয়নি। উলটে বিডিও-র ইস্যু করা নোটিশ খারিজ করে আদালত। ফলে এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বহাল থাকছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ পপবিত্র কর।