পথ দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে কেউ যদি হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে তাঁকে হায়রানি করতে পারবে না পুলিশ প্রশাসন। এই হায়রানির ভয়ে অনেকেই আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে পিছিয়ে যান।এ বার তা নিয়ে সাত দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ২০১৫ সালে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেয় এই নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে। কিন্তু নানা কারণে সেই নির্দেশ হিমঘরে পড়ে ছিল। হিমঘর থেকে সেই নির্দেশ বার করে বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা ব্যক্তিকে 'সুরক্ষা কবচ' দেওয়ার জন্য সাত দফা নির্দেশিকা জারি করেছে দফতর।
এই সাত দফা নির্দেশিকায় রয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় আহত কোনও ব্যক্তিকে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাহায্যকারীকে আটকে রাখা যাবে না। নাম ঠিকানা জানার পর তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। কোনও ব্যক্তি যদি তা না জানাতে চান তবে তাঁকে জোর করা যাবে না। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারির বিধিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
দুর্ঘটনা বা কোনও ব্যক্তির রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পুলিশকে যদি কেউ ফোনে জানান, তবে যিনি সেই খবর দিচ্ছেন, তাঁর নাম ও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পুলিশ কোনও রকম জোর করতে পারবে না।
(পড়তে পারেন। শুরু হতে চলেছে হাওড়া ব্রিজের সংস্কার, ২৭ দিন ধরে চলবে কাজ)
দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হলে হাসপাতাল থেকে পুলিশে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টে যিনি সাহায্য করছেন, তাঁর অনুমতি নিয়েই নাম দিতে হবে। এমন কী, হাসপাতাল বা পুলিশের যে আধিকারিক সাহায্যকারীর নাম বা পরিচয় জানার জন্য জোরাজুরি করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। নবান্নের আশা এই নির্দেশিকার পর দ্বিধা কাটিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির পাশে থাকতে পাবেন সাহায্যকারী।