আজ, রবিবার ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস। এই উপলক্ষ্যে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বারাকপুরের গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠান মঞ্চে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তাঁর পাশে ছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এই দেখে মঞ্চে উঠলেন না রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উল্টে সোচ্চার হয়ে জানান, শনিবারই নোয়াপাড়া এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। যার পিছনে রয়েছে অর্জুন সিংয়ের। খুনির পাশে বসতে চাই না বলেই এভাবে প্রতিবাদ করলাম।
আজ, রবিবার গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসে বারাকপুর গান্ধীঘাটে অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল, বারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, স্বরাষ্ট্র সচিব–সহ অন্যান্যরা। রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
ঠিক কী বলেছেন বনমন্ত্রী? এদিন মঞ্চে না উঠে তিনি বলেন, ‘শনিবার ইছাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং মূল অভিযুক্ত। একজন খুনিকে পাশে বসিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাই এই প্রতিবাদ। আমি রাজ্যপালকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি কোনও অসৌজন্য দেখাইনি। অর্জুন সিংয়ের গুণ্ডাগিরি চলবে না।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে রাতের অন্ধকারে গুলি করে এবং কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নোয়াপাড়ার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ছিলেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুনের ঘটনায় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদেই এমন পদক্ষেপ জ্যোতিপ্রিয়র বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।