সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে তৃণমূলের ২ নেতার বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের রাজনীতি। একদিকে দলের রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মনের দাবি, আবাস যোজনা থেকে কাটমানি তোলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। পালটা উদয়নপন্থীদের দাবি, রাজবংশী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করার বিনিময়ে টাকা নেন বংশীবদন। ২ নেতার এই বিবাদ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূলের বাকিরা।
দিন কয়েক আগে তৃণমূলের রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন দাবি করেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। তিনি বলেন দলের লোক যদি ঘরের টাকা খেয়ে থাকে, তাহলে উদয়নও তো দলের লোক। উনি তো দলের বাইরে নন। তাহলে উনি নিজেও এর সঙ্গে যুক্ত আছেন, জড়িত আছেন। মন্ত্রী প্রশ্রয় দেন দেখেই তো এসব হচ্ছে। যার দলের নীচুতলার লোকেরা-কর্মীরা ঘরের টাকা খাচ্ছে, তাহলে সেও তো খাচ্ছে। ফলে টাকা খেয়ে দলীয় নীচুতলার কর্মীরা যদি অপরাধী হয়, তাহলে একই দোষে তিনিও তো অপরাধী। এতে অবশ্যই ওঁর সায় আছে। ’
সেদিন পালটা উদয়ন বলেন, ‘বাজারে বংশীবদনের কথার কোনও দাম নেই। আমি কার কাছ থেকে টাকা নিই, কী করি, লোকে সেটা সব জানে। সেজন্য ও কী বলল না বলল কিচ্ছু যায় আসে না। আমার সম্পর্কে যা জানার দিনহাটার মানুষ সব জানেন। খবরের শিরোনামে আসার জন্য ও এসব করে।’
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বংশীবদনকে তুমুল আক্রমণ করেন উদয়নের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, ভোট এলেই বংশীবদন দলের ক্ষতি করার কাজে নেমে পড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের উন্নয়নের জন্য যে ২০০টি স্কুল তৈরি করেছেন সেখানে শিক্ষক নিয়োগ করে টাকা তুলেছেন বংশীবদন।’ সব মিলিয়ে উপ নির্বাচনের মুখে কোচবিহার তৃণমূলে চেনা ছবির কোনও বদল নেই।