গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। বীরভূমে ফিরতেই সেই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। মাস খানেক আগের একটি পুরনো হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তাদের বক্তব্য, টুলু মণ্ডলকে কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।
কয়লা এবং গরু পাচার কাণ্ডে গত অগস্ট মাসে বীরভূমের সিউরি শহরে তার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। এরপর শুক্রবার তাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার তিনি বীরভূমে ফিরে আসেন। এরপরেই মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বীরভূমের পুলিশ সুপার নাগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘গত মাসে একটি খুনের মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ রবিবার তাকে আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় জেলা আদালত।
এই গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে টুলুকে বাঁচানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি এবং কংগ্রেসের দাবি, একটি পুরানো খুনের মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হল তাকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে বাইরে রাখার একটি চক্রান্ত। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ইডির মুখোমুখি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই টুলুকে জেলা পুলিশ গ্রেফতার করল। এটা স্পষ্ট যে টুলু মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। বীরভূমের প্রতিটি ট্রাকের চালক টুলু মণ্ডলকে চেনেন। তিনি পুলিশের সহায়তায় পাচার চালিয়েছেন।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও টুলুকে ইডির থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আইনের বিষয়। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। বিরোধী দলগুলো এইসব বিবৃতি দিচ্ছে কারণ তাদের কাছে বর্তমানে কোনও বাস্তব ইস্যু নেই।’