এবার দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার জেলা থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এমনকী বোমা–অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এবার দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হল। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর এবং মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে গ্রেফতার করেছে দু’জনকে। গ্রেফতার হওয়া দু’জনের নাম কুরবান আলি এবং রাকেশ মোল্লা। তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এসটিএফ সূত্রে খবর, কুরবান আলি মন্তেশ্বরের বাসিন্দা। আর রাকেশ মোল্লার বাড়ি ডোমকলে। কুরবানের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার জন্য রাকেশ ডোমকল থেকে কুসুমগ্রাম–নাদনঘাট রোডে গিয়েছিল। এই খবরটিই চলে আসে এসটিএফের কাছে। মোটরবাইকে চড়ে যাওয়ার সময় কুরবান ও রাকেশকে গ্রেফতার করা হয়। কুরবানের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। মন্তেশ্বর থানায় কুরবান–রাকেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
কী করত কুরবান–রাকেশ? এসটিএফ–এর তদন্তে উঠে এসেছে, মন্তেশ্বরের কুরবান আলি কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। আর আড়ালে অস্ত্র পাচারকারীদের মাধ্যমে ব্যবসা চালাচ্ছিল। সেই ব্যবসার কথা জানত রাকেশ মোল্লা। এই রাকেশ মূলত অস্ত্রের বরাত নিয়ে সেটা অন্যত্র পৌঁছে দিত। আর টাকা কামিয়ে নিত। এবার গোটা বিষয়টি ধরা পড়ল। কুরবান–রাকেশকে আজ আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তার আগে বহু জায়গা থেকে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন তটস্থ হয়ে রয়েছে। তাই সমস্ত ছক বানচাল হয়ে যাচ্ছে। কেন এমন অস্ত্র, বোমা মজুত করা হচ্ছে? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাই এবার আগে থেকেই সক্রিয় হল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। অস্ত্র উদ্ধার করতে চলছে তল্লাশি।