বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আটক করল এসটিএফ। বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮১ হাজার ডিটোনেটর। আজ, বৃহস্পতিবার গাড়িতে করে সেই ডিটোনেটর পাচার করা হচ্ছিল। তখনই রাজ্য পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়ে বিস্ফোরকগুলি। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালককেও। তাকে জেরা করে চক্রের মাথাকে পাকড়াও করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওত পেতে বসেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গাড়িতে করে ডিটোনেটর বোঝাই বস্তা পাচার করা হচ্ছে বলেই খবর মিলেছিল। তারপরই সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির পিছু নেয় এসটিএফ। তারপর তাড়া করে মহম্মদবাজার থানার কাছে গাড়িটিকে ধরে ফেলে এসটিএফের আধিকারিকরা।
কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আশিস কেওড়া। বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাণীগঞ্জ এলাকা৷ তার গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। রানিগঞ্জ এলাকা থেকে ডিটোনেটরগুলি রামপুরহাটে আনা হচ্ছিল। ধৃতকে জেরা করার জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়েছে এসটিএফ। আজই তাকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিটোনেটর মূলত পাথর খাদানে পাথরের স্তর ভাঙতে ব্যবহার হয়। তবে অন্য কোনও কারণে এই বিস্ফোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহম্মদবাজার এলাকায় প্রচুর পাথর খাদান রয়েছে। যা এখন বন্ধ হয়ে রয়েছে। আগে এখানে খাদানগুলিতে বিস্ফোরণের জন্য ডিটোনেটর আনা হতো। এখন চোরাপথে ডিটোনেটর কেনাবেচা চলছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তবে নাশকতার জন্য এই বিস্ফোরক ব্যবহার করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।