সৎ মাকে খুন করে মাটির নিচে দেহ পুঁতে রেখেছিল ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় ৮ মাস আগে। এতদিন ধরে ওই মহিলা নিখোঁজ ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে গত বুধবার মাটি খুঁড়ে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর পুলিশ মহিলার সৎ ছেলেসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মৃত মহিলার নাম অর্চনা বর্মন। তিনি একজন তৃণমূল নেত্রী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলে বন্দি ছিলেন অর্চনা দেবীর স্বামী অজয় বর্মন। জেলা থাকাকালীনই তার মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান অর্চনা দেবী। সেই ঘটনায় কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তার সৎ ছেলে গোপাল বর্মনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু, পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় গোপাল। এরপর পুলিশ জানতে পারে যে অর্চনা দেবীকে খুন করে তার দেহ মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি জানার পরে বুধবার রাতে স্থানীয় নালার মাটি খনন করে অর্চনা দেবীর দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরে পুলিশ গোপাল সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন, মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। গতকাল তাদের আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কী কারণে মহিলাকে খুন করা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।