নাম মহম্মদ আমিরুদ্দিন। আসল বাড়ি পুরুলিয়ার পাড়া এলাকায়। হাওড়ার বাঁকড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। প্রাথমিকভাবে জেনে গিয়েছে সে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একথা চাউড় করে গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। একাধিক জেএমবি জঙ্গিকে সে আশ্রয় দিয়েছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। কার্যত সে জেএমবির লিংকম্যান হিসাবে কাজ করত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার কাছ থেকে প্রচুর সন্দেহজনক কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উত্তর পূর্বভারতে নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। ধৃত ব্যক্তি কতদিন ধরে এভাবে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছেন তা এসটিএফ খতিয়ে দেখছে।
তবে আপাতভাবে তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই। স্থানীয় এলাকাতেও শিক্ষক হিসাবেই পরিচিতি তৈরি করেছিল সে। কিন্তু সেই শিক্ষকতা পেশার আড়ালে যে নাশকতার ছক কষা হচ্ছে তা ভেবে কূল কিনারা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও গত বছর জুলাই মাসে সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারাও কলকাতায় ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। পরে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে তারা আসলে নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত। তবে আমিরুদ্দিন সম্পর্কে আরও খোঁজ নিচ্ছে এসটিএফ।