শূন্য দৃষ্টিতে বাসের বাইরে তাকিয়ে ছিল ব্যক্তি। তল্লাশি চালাতেই তার কাছ থেকে মিলল কারবাইন-কার্তুজ। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ডানকুনিতে গ্রেফতার মুঙ্গেরের বাসিন্দা। পাচার করার সময় হাতেনাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনি টোল প্লাজায়।
গোপন সূত্রে এসটিএফ খবর পায়, বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের একটি কনসাইন্মেন্ট পাচার করা হচ্ছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযানের নামে এসটিএফ। রাজ্যের আন্তঃরাজ্য যোগাযোগকারী জাতীয় সড়কগুলিতে রুটিনমাফিক তল্লাশি শুরু করেন এসটিএফের আধিকারিকরা।
সেই সময় ডানকুনি টোল প্লাজায় একটি বাসে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন এসটিএফের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বাসের মধ্যে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আধিকারিকরা লক্ষ্য করেন কোণার সিটে বসা একটি ব্যক্তি অন্য দিকে নজর না দিয়ে বাসের জানালা দিয়ে বাইরের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। তখনই সন্দেহ হয় ওই আধিকারিকদের। সেই সময়ে ব্যক্তির কাছে একটি ব্যাগ দেখতে পেয়ে, তার মধ্যে কি রয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করায়, কোনও সদুত্তর মেলেনি। রুটিনমাফিক ওই ব্যাগে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পরেই ওই চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেন এসটিএফের আধিকারিকরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। যদিও সম্পূর্ণ তথ্য জানতে ধৃতকে ম্যারাথন জেরা করা হচ্ছে।ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কয়েকটি কার্তুজ। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র মধ্যে রয়েছে একটি নাইন এমএম কারবাইন ও পাঁচটি পিস্তল। এই অস্ত্র পাচারচক্রে আর কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অস্ত্র-গুলি কাদের পাচার করা হত সেই খোঁজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ভোটের মুখে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল৷ সে বার মালদায় ৫টি অত্যাধুনিক পিস্তল, ১০টি ম্যাগজিন ও ৯০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ-সহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও মানিকচক থানার পুলিশ৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজগুলি বিহারের মুঙ্গের থেকেই আনা হয়েছিল।