নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ছড়াল উত্তেজনা। শুক্রবার সভা চলাকালীন সভামঞ্চের ডান দিকে উপস্থিত কর্মীদের লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ বিজেপির। এতে কর্মীদের মধ্যে সাময়িক আতঙ্ক তৈরি হয়। মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সভা শেষে শুভেন্দু বলেন, সবাই বাড়ি না পৌঁছনো পর্যন্ত আমি সভাস্থলে থাকছি।
এদিনের সভা ঘিরে নন্দীগ্রামে ছিল টানটান উত্তেজনা। সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘নন্দীগ্রামে গুলিচালনার পর আদবাণীজির সঙ্গে প্রথম নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই NDA-র সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিনি।’ এদিন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে চাণক্য বলে উল্লেখ করে কৈলাস বলেন, নন্দীগ্রামে গুলিচালনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির বদলে পুরস্কার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম করে তারা কে কোনও পদে আসীন তা হাজির জনতাকে বলেন বিজেপি নেতা।
কৈলাসের পর বলতে উঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের পতন আসন্ন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের এমন অবস্থা যে পুলিশ দিয়ে দলের নেতাকে বাড়িতে আটকে রাখতে হচ্ছে। পাছে বিজেপিতে যোগদান করে।’ বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন শুভেন্দু সবার শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি চাইব সূর্য ডোবার আগে আপনারা সবাই বাড়ি চলে যান। আজ সভায় ইট মেরে সভা ভন্ডুল করার চেষ্টা হয়েছিল। আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি, কিন্তু সিপিএমও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সভায় কোনওদিন ঢিল ছোড়েনি। ৪১টি শহিদ পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবার আজ এখানে উপস্থিত রয়েছে।
এর পর শুভেন্দু জানান, ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। সেই সভা হয়নি। আগামী ১৮ তারিখ তারা সভা করবে বলে জানিয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ খেজুরিতে আমাদের পালটা সভা হবে। ১৮ তারিখের উত্তর ওই দিন দেব।
এদিনের সভায় উত্তেজনা ছড়ালে মঞ্চের দখল নেন বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘আমার ওপর ভরসা আছে তো?’