আশ্রমে ঢুকে একাধিক জিনিস চুরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে আশ্রমে ডেকে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হল। তার ফলে মৃত্যু হল ওই পড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর থানা এলাকার উত্তরভাগে। মৃতের নাম পবিত্র সরদার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া মাংস ও চুল সাংসদের? ডিএনএ টেস্টে কলকাতায় আসছেন মেয়ে
জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ার বাড়ি দমদমে। সে বারুইপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই ওই আশ্রম অবস্থিত। ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই আশ্রমে ঢুকে সে বিভিন্ন জিনিস চুরি করে। এই অভিযোগে তাকে আশ্রমের সদস্যরা তাকে ডেকে পাঠায়। এরপর আশ্রমের মধ্যেই তাকে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
খবর পেয়ে মৃতের মামা ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, এই আশ্রমে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। সেই বিষয়টি ধামা চাপা দিতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পবিত্রর মা বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আশ্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এনিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
মৃত পড়ুয়ার মা মালতী সরদারের দাবি, তার ছেলে এর আগে কখনও চুরি করেনি। যদি চুরি করেও থাকত তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে বলা যেত। তাই বলে এভাবে পিটিয়ে মারা অমানবিক কাজ হয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তার প্রশ্ন, নিরাপত্তারক্ষীদের পাশাপাশি একাধিক কুকুর রয়েছে আশ্রমে।তাছাড়া অনেক উঁচু পাঁচিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই আশ্রম থেকে কীভাবে চুরি করবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মৃতের মামা সাধু সরদার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌঁছন। তখন দেখেন যে তার ভাগ্নের হাত পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। তখন ভাগ্নেকে ছাড়াতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। তার অভিযোগ, তাকেও চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়। সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে তিনি জানতে পারেন পবিত্রকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।