জেলের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠল পুরুষ পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরা। আগামী দিনে তাঁরা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে, ছাত্রীদের বিরুদ্ধে মহিলা পুলিশকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার ৯ জন ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছিল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে ২ ছাত্রী সৌমি জানা এবং বর্ষা বড়াল জামিন পাওয়ার পর পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধর এবং অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। এই বিষয়টি জানার পরেই উদ্বিগ্ন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহল।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, শরদিন্দু উদ্দীপন নামে একজন সমাজকর্মী ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পরে অবশ্য তাকে তিনি জামিন পেয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ধারা যোগ করেছিল পুলিশ। তারই প্রতিবাদে সিপিআইএমএলএ'র ছাত্র সংগঠনের ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়া সোমবার পুলিশের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাদের মিছিলে লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি ৯ জনকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। সিপিআইএমএলএ'র রাজ্য কমিটির নেত্রী চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরীর অভিযোগ, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ মিছিলে অকথ্যভাবে অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছে শিক্ষক মহল। যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, 'জেলে থাকা অবস্থায় ছাত্রীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তা অমানবিক এবং অগণতান্ত্রিক। এর বিরুদ্ধে আমরা সরব হব।'