বিয়ের বৌভাতের জন্য ব্যবহার করা হল প্রাথমিক স্কুল। যার জেরে নোংরা আবর্জনায় ভরে গেল স্কুলটি। তারপরেও বিয়ের বাড়ির তরফে স্কুলটি পরিষ্কার কড়া হল না। ফলে শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের দিয়েই বিয়েবাড়ি যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার করানো হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ জয় কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এমন অবস্থায় স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে পাঠানো হয়। তা সত্ত্বেও কেন তাদেরকে দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করানো হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার ওয়েলিংটনের স্কুলে ভয়াবহ আগুন, হস্টেলের পড়ুয়াদের ঘর পুড়ে ছাই, কান্না ছাত্রীদের
জানা গিয়েছে, স্থানীয় একজনের বৌভাতের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক স্কুলকে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। রাতভর সেখানে অনুষ্ঠান চলে। এরপর মঙ্গলবার সকালে শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা স্কুলে যেতেই স্কুল চত্বর নোংরা আবর্জনা ভরে থাকতে দেখেন। সেইসঙ্গে বাসি খাবারের দুর্গন্ধে অস্থির হয়ে পড়েন সকলেই। পরিস্থিতি এমন হয় যে মুখে রুমাল বেঁধে স্কুলে ঘুরতে হয় পড়ুয়া শিক্ষকদের। তখন স্কুলের তরফে তারা নিজেরাই পরিষ্কার করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পড়ুয়াদের দিয়ে বিয়ে বাড়ির বাসি খাবার-ময়লা পরিষ্কার করানো হয়েছে। এই অবস্থায় কেন বিয়ে বাড়ির ময়লা স্কুলের বাচ্চাদের সাফ করতে হবেঁ? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। যদিও যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তাদের দাবি, স্কুলে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করা হয়নি। স্কুলটির ফ্লাড সেন্টারকে অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সেটি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, স্কুলের দাবি সেখানে যে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করা হয়েছিল সেই বিষয়ে আগে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার প্রসঙ্গে শিক্ষকরা দাবি করেছেন, যে স্কুলের পড়ুয়ারা নিজেদের উদ্যোগে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করেছে। এর জন্য তারা শিক্ষকদের কিছু জানায়নি। তবে দুর্গন্ধ ময়লা পড়ে থাকার কথা অস্বীকার করেছে স্কুলটি। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র কয়েকটি থালা এবং জলের বোতল পড়েছিল। সেগুলিই পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকও জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য স্কুলটিকে ব্যবহার করার বিষয়ে আগে থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে এমন অবস্থায় স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।