বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। একটি সমস্যা কাটতে না কাটতেই আবার নতুন করে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। গতকাল সোমবার থেকে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন। সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কী কারণে পড়ুয়াদের সাসপেনশন?
গত নভেম্বর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই সময় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের বাইরে পড়ুয়ারা অবস্থান শুরু করেছিলেন। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এই দাবিতে তাঁদের বিক্ষোভ চলছিল। সেই বিক্ষোভের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি হয়। সেখানে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে হেনস্তা করারও অভিযোগ ওঠে। এরপরে আন্দোলনে যুক্ত থাকা ৭ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ ডিসেম্বর তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তারপর থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ছিল। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলতেই এই সাসপেন্ড হওয়ার পড়ুয়ারা নতুন করে অবস্থান শুরু করেছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য পড়ুয়ারা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বলাকা গেটের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ আন্দোলন করছেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও জানাচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। অবস্থানরত পড়ুয়াদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন, প্রয়োজন পড়লে ধর্মঘটের দিকেও এগোতে পারেন।