এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে শোকজ করায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এর প্রতিবাদে কলেজের ডিনকে ঘেরাও করলেন ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ। ঘটনায় বিপক্ষে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। মূলত সেমিনার হল খোলা নিয়ে ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে শোকজ করা হয়েছিল। ডিনের দাবি, সেমিনার হল খোলার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, অনুমতি নিয়েই সেমিনার হল খোলা হয়েছিল। তারপরেও কেন শোকজ করা হল? ডিন কি কোনও চাপে পড়ে শোকজ করেছেন? এই দাবি তুলে এদিন ডিনকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: কলকাতা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হচ্ছে বিষ তথ্যকেন্দ্র, কমিটি গঠনের নির্দেশ
জানা গিয়েছে, বিতর্কের সূত্রপাত গত ৯ মার্চ ভারত-নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে। ওইদিন মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে ম্যাচ দেখেন পড়ুয়ারা। তবে অভিযোগ উঠেছে, সেমিনার হল খোলার কোনও অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও চাবি আনিয়ে সেই সেমিনার হল খুলিয়েছিলেন সানি মান্না ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। এরপরেই বিষয়টি জানতে তাঁকে শোকজ করেন ডিন। এদিন তাঁকে ঘিরে দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ করেন পড়ুয়াদের একাংশ। তিনি বলেন, ‘এর আগে সেমিনার হলে ম্যাচ দেখার জন্য পড়ুয়ারা আমার কাছে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু, আমি অনুমতি দিইনি। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, যে এটা শুধু শিক্ষাগত কাজেই ব্যবহার হবে। অন্য কোনও কাজে ব্যবহার হবে না। এর জন্য অন্যান্য হল রয়েছে। তাঁরা সেখানে দেখতে পারেন। তাছাড়া, সেমিনার হলটি নোংরা হয়ে গেলে পরিষ্কার করাটা খুবই কঠিন কাজ। সেই কারণে আমি অনুমতি দিতে চাইনি। তবে এর পরে সেমিনার খোলায় আমি ওই পড়ুয়ার কাছে জানতে চেয়ে শোকজ করেছিলাম। আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছি, কার অনুমতি নিয়ে তিনি সেমিনার হল খুলেছেন।’ ডিন দাবি করেছেন, অন্য এক পড়ুয়ার কাছেই তিনি এবিষয়টি জানতে পেরেছেন। তবে তিনি কার কাছে সেটি জানতে পেরেছেন তাই নিয়ে এদিন পড়ুয়ারা এদিন ডিনের ওপর চাপ দিতে শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের একজনের দাবি, যাকে শোকজ করা হয়েছে, সেমিনার হল খোলানোর বিষয়ে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। অনুমতি নিয়েছিল অন্যজন। ফলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ডিনের কাছে ভুল তথ্য এসেছে। তাহলে কেন তিনি সেটি যাচাই করলেন না? তা এদিন জানতে চান পড়ুয়ারা। তাছাড়া, কে তাঁকে এই ভুল তথ্য দিয়েছে সেবিষয়েও জানতে চান। তাঁদের বক্তব্য, অনুমতি নিয়েই সেমিনার হলে খেলা দেখা হয়েছিল। একজন স্যারের স্বাক্ষর রয়েছে। প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই পড়ুয়াকে টার্গেট করা হয়েছে।