পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল পিংলায়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলা দিনমজুর—সহ দু’জন মিস্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার জামনা এলাকায়।
এদিন দুপুর থেকে ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিকেলের তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পিংলা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে এক মহিলা দিনমজুর-সহ দুই শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ বছর বয়সী ওই যুবতী ডেবরা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামনা এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে এক ব্যক্তির বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। সেখানে সবং থানার তেমাথানি এলাকার এক মহিলা দিনমজুর-সহ বেলদা এলাকার দুই যুবক কাজ করছিল।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, আজ দুপুর থেকে আচমকাই ছোট মেয়েক কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ ধরে যুবতীর কোনও খোঁজ না পাওয়ায়, তাঁর পরিবারে লোকজন গেটো এলাকা তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে ওই নির্মিয়মান বাড়ি সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িতে মেয়ের দেহ প্রথম দেখতে পান ওই যুবতীর বাবা। তারপরেই বাড়ির লোকজন-সহ প্রতিবেশীরা উপস্থিত হন সেখানে। খবর পেয়ে পিংলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্তে নেমে মহিলা দিনমজুর-সহ ২ মিস্ত্রিকে আটক করা হয়।
অবশ্য ওই যুবতীর পরিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না করলেও দাবি করেছে, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ গোটা ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পরই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।