রসায়ন পরীক্ষার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো একাদশের এক ছাত্র। আর পালিয়ে যাওয়ার পর দুদিন ধরে সে কাটাল স্টেশনের ওয়েটিংরুমে। পরে বিষয়টি নজরে আসতেই জিআরপি তৎপরতায় বাড়ি পাঠানো হল ওই কিশোরকে। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের। জানা গিয়েছে, কিশোরকে তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার আগে কাউন্সেলিং করে দক্ষিণ দিনাজপুরের সিডাব্লিউসি।
আরও পড়ুন: ভালো হয়েছিল পরীক্ষা, যুবকের ফোন আসতেই উদ্ধার মাধ্যমিক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১২ মার্চ একাদশের রসায়ন পরীক্ষা ছিল। সেদিনই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কিশোর। দীর্ঘক্ষণ ছেলেকে দেখতে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান কিশোরের বাবা মা। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ছেলের খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু, না পেয়ে ঘটনার রাতেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সিডব্লিউসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোর প্রথমে বাড়ি থেকে পালিয়ে বুনিয়াদপুর স্টেশনে আসে। সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছয়। এরপর স্টেশনের ওয়েটিং রুমে সে দুদিন কাটিয়ে দেয়। তবে গত ১৪ মার্চ সে লক্ষ্য করে যে তার পকেটে টাকা পয়সা নেই। তখন খিদের চিন্তা মাথায় আসতেই সে বর্ধমান স্টেশনে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখন বিষয়টি নজরে আসে এক মহিলার। তিনি কিশোরের সঙ্গে কথা বলতেই জানতে পারেন যে বাড়ি থেকে পালিয়েছে সে। পরে ওই মহিলা কিশোরের বাবা ও জিআরপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বর্ধমান স্টেশনে যান ছাত্রের বাবা। সেখানে থেকে জিআরপির তৎপরতায় কিশোরকে সিডব্লিউসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরের কাউন্সেলিং হয়। এর পর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরিবারের দাবি, কিশোর অত্যন্ত মেধাবী। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল। তা সত্ত্বেও কেন সে বাড়ি ছেড়ে পালালো? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পড়াশোনা নিয়ে অত্যাধিক চাপ কি এক্ষেত্রে কাজ করছে? যদিও পরিবারের দাবি, তাদের তরফ থেকে কোনওভাবেই কিশোরকে পড়াশোনার জন্য চাপ দেওয়া হতো না। তবে পরীক্ষার আগে তাঁরা জানতে পারেন, রসায়নের তিনটি চ্যাপ্টার শেষ করতে পারেনি সে। এবিষয়ে সিডাব্লিউসি’র তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্র খুব মেধাবী। তাকে বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার আগে কাউন্সেলিং করা হয়েছে। ছাত্রকে উৎসাহিত করা হয়েছে।