বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। এবার তার মধ্যে ক্যাম্পাস, হস্টেল খোলা, ফলপ্রকাশ–সহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। তার জেরে আজ, শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন কেন্দ্রীয় অফিসের সামনের গেট ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর তা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন পড়ুয়ারা। তখন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেগুলি ছাত্রছাত্রীদের বিরোধী। তিন বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীকে অবিলম্বে ফেরাতে হবে এবং অনৈতিক সাসপেনশনে যা ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। এমনকী কোনও শর্ত ছাড়া ক্যাম্পাস ও হস্টেল খুলতে হবে। আর অফলাইন পঠনপাঠন শুরু করতে হবে। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্বের অধিকার দিতে হবে।
এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। তাতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। কারণ বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়। বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে এলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কোনওরকমে সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও তা পুরোপুরি থেমে গিয়েছে এমন নয়। কারণ আবার তা দেখা দিতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এই গোটা বিষয়ে ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, ‘এই উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদ বন্ধ করতে তাদের সাসপেন্ড এবং বহিষ্কার করার ভয় দেখাচ্ছেন। কর্মসমিতিতে আমাদের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখানে পড়ুয়াদের কথা ভাবা হচ্ছে না৷ তারা এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা ছাত্রছাত্রী বিরোধী। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি।’