ইতিমধ্যেই ৬০ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে। ঘেরাও রয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার মধ্যেই উপাচার্যের বাড়ির সামনে ব্যানার লাগাতে গেলেন ছাত্রছাত্রীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় উঠল বিশ্বভারতী। পড়ুয়ারা ব্যানার লাগাতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। আর বাধা দিতেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, সোমবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির গেটে ব্যানার লাগাতে যায় পড়ুয়ারা। ব্যানার লাগাতে গেলে তাতে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়। তার জেরে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি–হাতাহাতি। ধুন্ধুমার এই কাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই পরিস্থিতি। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাদের প্রথমে ধাক্কা দিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা।
উল্লেখ্য, ছাত্রদের বরখাস্ত করা নিয়ে গত তিনদিন ধরে পড়ুয়ারা একটি ঘেরাও কর্মসূচি চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কেউই কথা বলছে না। তাই নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে উপাচার্যের বাড়ি পর্যন্ত একটি বড় মিছিল করা হয়। সেই মিছিল সামিল হন বিশ্বভারতীর বর্তমান–প্রাক্তন পড়ুয়া–সহ এলাকার মানুষজন। তাতেই সরগরম হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী চত্ত্বর। পদযাত্রা শেষে উপাচার্যের বাড়ির সামনের গেটে ব্যানার লাগাতে গেলে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এই ঘটনার পরই উপাচার্যের বাড়ির গেটের সামনে মানুষের ভিড় হয়ে যায়। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। জোর করেই তারা উপাচার্যের বাড়ির গেটে ব্যানার লাগিয়ে দেয়। সেখানে যোগ দেন বরখাস্ত হওয়া ছাত্র ও অধ্যাপকরা। এমনকী আলাপনি মহিলা সমিতিও। বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও নিজের বাড়ি থেকে বের হননি।