কয়লা খাদান থেকে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে। ওই ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আসানসোলে। শুক্রবার সকালে সালানপুর ইসিএলের সামডি খোলামুখ খনিতে ওই পড়ুয়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কর্মরত শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সালানপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে কী কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম ঊষা বাউড়ি (১৮)। মৃত ওই যুবতী আলকুশা ডাঙাল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় আছড়া গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল ঊষা।
মৃত যুবতীর বাবা বরুণ বাউরি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার খেয়ে দোকান থেকে জিনিস কিনতে যাওয়ার কথা বলে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল মেয়ে। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি সে।’
মেয়ে ঘরে না ফেরায়, চিন্তিত পরিজনেরা তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে সালানপুর থানার সামডি পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিকভাবে জানিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল ঊষা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সে। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না তাঁর পরিবার। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।