আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠেছে যে হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে। ঠিক সেই আবহে একটি কলেজের হস্টেলে ফার্মেসি পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। বুধবার কলেজের হস্টেলে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি জঙ্গিপুরের একটি কলেজের হস্টেলে। এই দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত পড়ুয়ার নাম তহিদ করিম। এটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর এক বছর হতে বাকি কিছুদিন, শুরু হল শোকজের চিঠি ধরানোর পর্ব
পারিবারিক এবং কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়া মালদার যদুপুরের বাসিন্দা। তিনি জঙ্গিপুরের ওই কলেজে ফার্মেসি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ফার্মেসির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। সেখানে পড়ার সূত্রে কলেজের হস্টেলেই থাকতেন। তিনি প্রতিদিনই মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর অভিভাবকরা। পরে বুধবার তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরেই হস্টেলের ঘর থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে ছাত্রের পরিবার। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘক্ষণ ধরে তহিদ নিখোঁজ ছিলেন। অথচ সে বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোলই ছিল না। তাঁরা ফোন করার পরেই ছাত্রের খোঁজ করে কর্তৃপক্ষ। তহিদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
যদিও এটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। ময়নাতদন্তে পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার। একইসঙ্গে তরুণের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
আরও পড়ুন: আমিও তোমাদের একজন…দিল্লিতে ছাত্র মৃত্যুতে বিক্ষোভকারীদের বার্তা DCP-র
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। একইসঙ্গে কারণ জানতে কলেজ এবং হস্টেলের একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।