চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়ে শিক্ষকের হাতে মার খেয়েছিল খুদে পড়ুয়ারা। তারই প্রতিবাদে শিক্ষককে কার্যত তালাবন্দি রেখে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ব্লকের মেটালা জুনিয়র হাই স্কুলের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে ব্লক প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষককে ছেড়ে দেন অভিভাবকরা।
ঘটনার সূত্রপাত একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। স্কুলের পড়ুয়াদের অভিযোগ, এক পড়ুয়ার টাকা চুরি নিয়ে তারা স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আনন্দ মান্ডির কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। তখন ওই শিক্ষক কারও অভিযোগ না শুনে অভিযোগকারী পড়ুয়াদের মারধর করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে স্কুলে আসেন। তাদের আরও বক্তব্য, যে তারা ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে চায় না। মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় মাহাতোকে একটি ঘরে তালা বন্দি করে রাখেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাদের কাছ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেন অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় মাহাতো বলেন, ইংরেজি বিষয়ের ওই শিক্ষক মাথা ঠিক রাখতে পারেননি বলে এরকম কাজ করেছেন। এর জন্য তিনি দুঃখিত। তবে ভবিষ্যতে আর এরকম কাজ হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তালা বন্দি থাকেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পরে ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মুক্ত করা হয়। আগামী সোমবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।