পাশ করানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। সেখানের ছাত্রীরা স্কুলের গেট আটকে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। একইসঙ্গে হাজির হন অভিভাবকরা। বুধবার এমনই ঘটনা ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চত্ত্বরে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশও। উচ্চমাধ্যমিক–মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় বহু ছাত্রী অকৃতকার্য হয়। তাই বিদ্যালয়কে চাপ দিয়ে পাশ করানোর দাবিতে ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান।
ঠিক কী ঘটেছে শ্রীরামপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই স্কুলে মাধ্যমিকের ২৩ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ৯ জন টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে অভিযোগ। এই পাশ করতে না পারা ছাত্রীরা একসঙ্গে এসে বিক্ষোভ দেখায়। তাতে স্কুল চত্ত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাশ করাতে হবে এই দাবিতে স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রীরা। আর তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অভিভাবকরাও। এই বিক্ষোভের জেরে প্রধান শিক্ষিকা–সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা স্কুলের মধ্যে আটকে পড়েন। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এসে শিক্ষিকাদের বের করে নিয়ে যায়।
ঠিক কী অভিযোগ ছাত্রীদের? এই ঘটনা নিয়ে বহু ছাত্রী ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। এই অকৃতকার্য ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রি–টেস্ট পরীক্ষায় ভাল ফল হয়েছিল। আর টেস্ট পরীক্ষায় এমন ফল হয় নাকি। আমাদের উত্তীর্ণ করিয়ে দিতে হবে। কারণ আমরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করব। এটা আমাদের বিশ্বাস। আমাদের টেস্ট পরীক্ষায় পাস করানো হয়নি। আমরা খাতা দেখতে চাইলেও তাও দেখানো হচ্ছে না। এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে।
ঠিক কী বক্তব্য স্কুল কর্তৃপক্ষের? এই বিক্ষোভে যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয় স্কুলে। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আইভি সরকার জানান, দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন ছাত্রী খারাপ রেজাল্ট করেছে। যারা ফেল করেছে তারা বছরের বিভিন্ন পরীক্ষাতেও সাফল্য পায়নি। মাধ্যমিকের ২৩ জন ও উচ্চ মাধ্যমিকের ৯ জন ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। আমরা ছাত্রীদের খাতাও দেখাতে চাই। ছাত্রীদের জানানো হয়েছে তারা যেন লিখিত দরখাস্ত দেয়। তারপর তাদের খাতা দেখানো হবে।