প্রয়াত হলেন সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। জীবনভর ইছামতী নদীকে বাঁচানোর জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটি। নদী বাঁচানোটাই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। এবার চলে গেলেন তিনিও , চিরদিনের জন্য। নদীকে বাঁচানোর জন্য কার্যত দায়িত্ব দিয়ে গেলেন আগামী প্রজন্মকে। পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। সোমবার কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্য়ু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন নিতুদা বলে। মৃত্য়ুর আগে পর্যন্ত সকলের প্রিয় সেই নিতুদার মুখে নদী বাঁচানোর নানা কথা শোনা যেত। দীর্ঘ দুদশকেরও বেশি সময় ধরে ইছামতী সংস্কারের জন্য় তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। মৃত্যু এসে হঠাৎই থামিয়ে দিল সেই লড়াই। নদী বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই ভেঙে পড়েছেন নিতুদার মৃত্যুতে। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, ‘ইছামতী নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিলেন নিতুদা। আমাদের পথ দেখানোর মানুষ আর রইলেন না।’ এদিকে একটা সময় নদিয়া থেকে বসিরহাট পর্যন্ত নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে নিয়ে শুরু করেছিলেন ইছামতী বাঁচাও যাত্রা। দিল্লি পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতীরও হস্তক্ষেপ চান তিনি।তিনিই শিখিয়েছিলেন নদী না বাঁচলে কেউ বাঁচবেন না। বাসিন্দাদের দাবি তাঁর মৃত্যুতে নদী বাঁচানোর আন্দোলন ধাক্কা খেল।