পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রায়ই বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করতে শোনা যায়। বিজেপির অনেক নেতৃত্বে রাজ্য পুলিশকে তৃণমূলের কর্মী বলেও অভিযোগ করেছেন। আর এবার বিজেপির মন্ত্রীর দিল্লির বাড়িতে গোয়েন্দাগিরি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, তাঁর দিল্লির বাড়িতে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা নজরদারি চালাচ্ছিলেন।
সুভাষ সরকারের অভিযোগ, তাঁর দিল্লির বাড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই গোয়েন্দাগিরি করতে দেখা যায় রাজ্য পুলিশকে। রাজ্য পুলিশের দুজন গোয়েন্দা তাঁর দিল্লির বাড়িতে ভিডিয়োগ্রাফি করছিলেন বলে সুভাষের অভিযোগ। তবে তাদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় তাঁরা রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা। বুধবার আসানসোলে সুভাষ সরকার বলেন, তাঁদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে দু'জনকেই দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দিল্লি পুলিশ সহ্যশক্তির পরিচয় দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সহ্যশক্তি শেখা দরকার। একজন মন্ত্রীর বাড়িতে পুলিশের এই ধরনের ভিডিয়োগ্রাফির তীব্র নিন্দা করেছেন সুভাষ সরকার।
এই অভিযোগ উঠতেই তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তারা বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘বিজেপি সবকিছুর মধ্যেই তৃণমূলকে জড়িয়ে ফেলে। এটা ওদের সমস্যা যে ওরা সবকিছুতে তৃণমূলের চক্রান্ত দেখতে পায়। ওখানে সত্যি সত্যি নজরদারি চালানো হচ্ছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’ এর পাশাপাশি বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, হয়তো বিজেপির নেতাদের নিজেদের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। এই নজরদারির সঙ্গে বিজেপি নিজেরাই জড়িত রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।