তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের অসহযোগিতায় নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি ভাইরাল অডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) এমনই বলতে শোনা গেল এক ব্যক্তিকে। যে ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তিনি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলে দাবি করা হয়েছে। সুব্রতকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ওই কণ্ঠস্বর তাঁরই বলে স্বীকার করেছেন।
কলকাতা পুরভোটের প্রাক্কালে একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের দলের কিছু সহকর্মীর অসহযোগিতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে ভোটে (জিততে) পারলেন না।’ সঙ্গে ওই ব্যক্তি যোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হারের পরও মমতা যেভাবে ভবানীপুর থেকে জিতে এসেছেন মমতা, সেজন্য তাঁরা গর্বিত। তারপরেই হাততালির আওয়াজ শোনা যায়।
সেই অডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়, অডিয়োয় যে ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তিনি মমতার দীর্ঘদিনের সঙ্গী সুব্রত। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, এটা একেবারে সত্যি কথা। অনেক জায়গায় বলে থাকেন। মমতাকে হারানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২ মে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে গণনার শুরু থেকে নন্দীগ্রামে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। পরে কয়েকটি রাউন্ডে এগিয়ে গিয়েছিলেন মমতাও। শেষের দিকে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি টক্কর হয়। ১৬ তম রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন মমতা। হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রে কী ফলাফল হয়, তা জানতে সারাদেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। প্রাথমিকভাবে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছিলেন, ১,২০০ ভোট জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, শুভেন্দু জিতেছেন। তা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কয়েকটি মহল থেকে দাবি করা হয়, ১,৯৫৩ ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছেন শুভেন্দু। মধ্যরাতের কাছাকাছি নির্বাচন কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন মমতা। তারপরই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আর্জি জানায় তৃণমূল। যদিও কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কমিশন। যে মামলা এখনও হাইকোর্টে বিচারাধীন।