বিজয়া দশমীতে দুর্গা মূর্তি ভাঙচুরের প্রতিবাদ সভায় যোগদান করে হাওড়ার শ্যামপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধান ইউনুসের সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার আদালতের অনুমতিতে শ্যামপুরে প্রতিবাদসভার আয়োজন করে বিজেপি। সেই সভা থেকে হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন - জেনারেটারে চুল জড়িয়ে ভয়াবহ মৃত্যু গৃহবধূর, জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় যা ঘটল
পড়তে থাকুন - ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, খারাপভাবে স্পর্শ, কাঠগড়ায় শিক্ষক
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দল শুধু নয়। হিন্দুদের কথা বলা যাবে না। ওপারে ডক্টর ইউনুস আর এপারে ওর বোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দুদের কথা বলা যাবে না। দুর্গা ঠাকুর ভাঙলে বলা যাবে না। আপনি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেন। আর বিকাশ ভটচাজ, সুবোধ সরকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোমাতা ভক্ষণ করলে তিনি সেকুলার হয়ে যাবেন।’
হাওড়া জেলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বিজয়া দশমীর দিন কোনও কারণ ছাড়াই চারিদিক থেকে সন্ত্রাসবাদী গুন্ডা তাদেরকে জড়ো করে ডেপুটেশনের নামে এখানে আমাদের একাধিক দুর্গামূর্তিকে ভাঙা হয়েছে। হিন্দু সমাজকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে ৫ দিন। ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ গোটা পৃথিবী থেকে আপনাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল ৭২ ঘণ্টার জন্য। শুধু শ্যামপুরের গুন্ডারা নয়, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, আমতা, বাইনান, উলবেড়িয়া, নুরপুর থেকে দুই থেকে আড়াই হাজার গুন্ডা জড়ো করে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমি ৫ দিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আমাকে SP – DG অনুমোদন দেয়নি।’
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ল সঞ্জয়, বেপরোয়া আরজি কর কাণ্ডের সিভিক
হিন্দুদের প্রতি বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, ‘আপনাদের বলব, যে যেমন রাজনৈতিক দল করেন করবেন। সবার অধিকার আছে। কিন্তু আমার হিন্দুরা, সনাতনীরা প্রত্যেকটা গ্রামে সমস্ত হিন্দুদের ডেকে দলমত নির্বিশেষে ধর্মরক্ষা কমিটি তৈরি করুন। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে। মন্দিরে মাইক বসান। সিসিটিভি বসান।’