আজ, শুক্রবারের সকাল থেকেই ব্যাহত হয়ে পড়ল বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচল। এই বর্ধমান স্টেশনে হঠাৎ পাওয়ার ব্লক হয়ে যায়। তার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বিদ্যুৎ না থাকার জেরে বর্ধমান স্টেশনে সমস্ত ট্রেন আটকে পড়ে। কর্ড এবং মেইন দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে যায়। বেশি সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা।
ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমান স্টেশনে? আজ সকালে হঠাৎ পাওয়ার ব্লক হয়ে যায় বর্ধমান জংশন স্টেশনে। বিদ্যুৎ সংযোগ এভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বর্ধমান স্টেশনে বহু ট্রেন আটকে পড়ে। ফলে বর্ধমান–হাওড়া কর্ড ও মেন শাখায় ট্রেন চলাচল থমকে যায়। আবার এই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে বর্ধমান থেকে কোন ট্রেন ছাড়তে পারেনি। এমনকী বর্ধমান রামপুরহাট শাখা এবং বর্ধমান আসানসোল শাখাতেও সমস্যা তৈরি হয়। বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক দূরপাল্লার এবং লোকাল ট্রেন থেমে যায়। থমকে যায় ডাউন বিশ্বভারতী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার, ডাউন বিভূতি এক্সপ্রেস।
ঠিক কী বক্তব্য রেলের? এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ট্রেন চলাচল থমকে যায়। তবে আবার ট্রেন চলাচল চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। তবে কেন এই পাওয়ার ব্লক সেটা জানা যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্ধমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এমন বিপত্তিতে বড় প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবায়। দে়ড় ঘণ্টারও বেশি সময় স্তব্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনায় নাকাল হতে হয় অফিসযাত্রীদের। অনেকেই সড়ক পথে ধরে ফেলেন। আবার কিছু অফিসযাত্রী বাড়ি ফিরে যান। দুরপাল্লার ট্রেন আটকে পড়ায় সেখানের যাত্রীদের ঠায় বসে থাকতে হয়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা বর্ধমান থেকে হাওড়া অথবা কলকাতায় আসেন। সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক ট্রেন। লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা হয়েছে বলে খবর। বহু সময় পরে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।