বরাকর শুটআউটের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় গোটা জেলা। কারণ তাতে এক যুবককে প্রাণের বলি দিতে হয়েছিল। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তারপরই বরাকর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হেমন্ত দত্তকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হল। এই বদলির নির্দেশের সঙ্গে ঘটনার যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর জায়গায় এসেছেন শীতল নাগ।
জানা গিয়েছে, দু’মাস আগেই এখানের দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন হেমন্ত দত্ত। বরাকর ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন হেমন্ত দত্ত। এই ফাঁড়িতে তাঁর আসার পিছনেও একটা ইতিহাস আছে। সেটা হল— বরাকর ফাঁড়িতে বন্দি মৃত্যুর জেরে আগের ওসি অমরনাথ দাসকে সরিয়ে বরাবনি থেকে বরাকর ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল হেমন্ত দত্তকে। কিন্তু মঙ্গলবারই হেমন্ত দত্তকে বদলি করে দেওয়া হয় আসানসোল আদালতের জি.আর.ওতে। যা রুটিন বদলি বলে মানতে নারাজ অনেকেই।
এখানে পুলিশ কমিশনার এন. সুধীর কুমার নীলকান্তাম দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম বদলি। পুলিশ সূত্রে খবর, বরাকর এলাকায় একটি শুটআউটের ঘটনা ঘটেছিল। তার জেরে শাহবাজ আলম (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় ১১ অগস্ট। তাতে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। মূল অভিযুক্তের নাগাল অবশ্য এখনও মেলেনি। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের অবশ্য দাবি, এটা রুটিন বদলি।
উল্লেখ্য, শাহবাজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছিল। বরাকর পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ শাহবাজকে উদ্ধার করা হয়। জেলা হাসপাতালেই শাহবাজ আলমের মৃত্যু হয়। মোবাইল ফোন সারানোর কাজ করতেন শাহবাজ আলম। এই ঘটনার পরই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হল।