সতীর্থ তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে নিয়ে চিন্তিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সোমবার রাতে কার্যত একাই দিল্লি রওনা দিয়েছেন মুকুল। আচম্বিতে তাঁর এই দিল্লি যাত্রা নিয়ে চিন্তিত ছেলে শুভ্রাংশু রায়। সংবাদমাধ্যমে কাছে তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা বাবা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই। মদন মিত্রের চিন্তা অবশ্য অন্যত্র। কিছুদিন আগেই মদন মিত্রের মস্তিষ্কে চিপ বসানো হয়েছে। সেই চিপ নিয়েই চিন্তা কামারহাটির বিধায়কের।
তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনা পরম্পরা দেখে তাঁর অক্ষয় কুমার অভিনীত একটি ছবির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। মদনের কথায়, 'অক্ষয় কুমারের একটি সিনেমাতে দেখিয়েছিল, শরীরে চিপ ঢুকিয়ে দিলে লোকেশন ট্র্যাক হয়ে যাবে এবং সব গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে। বিজেপি তাঁর ডিজিটাল টিম দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। এ সব না করলে তো মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো কিছু করা যাচ্ছে না।'
বিজেপিকে কটাক্ষ এখানেই থামেনি মদনের। ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন,'এই ঘটনায় আমি খুব চিন্তিত। বাড়িতে বলেছি কেউ কোনও ইঞ্জেকশন দিতে এলে যাচাই করে নিতে। বিজেপি হয়তো নতুন কোনও চিপ বের করেছে। সেই মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাল্লা রাজা চিপ দিয়ে সবাইকে বোকা করে দিয়েছিল।'
মুকুল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ টানেন। ব্যঙ্গের সুর বজায় রেখে কামারহাটির বিধায়ক বলেন,' আমি চাইব মুকুলের হঠাৎ কী হল, তা তদন্তের দায়িত্ব ইডি-সিবিআইকে দেওয়া হোক। সব কিছুই যখন ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে, তখন ওঁরা বের করুক মুকুলকে কারা দিল্লি নিয়ে গেল। মুকুল রায় শুধু দেশের একজন নাগরিক নয়, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী, বর্তমান বিধায়ক। তাঁকে দিয়ে কী করিয়ে দেবে বোঝা যাচ্ছে না। এটাও হয়তো বলাতে পারে যে ২০ জন বিধায়ক টাকা নিয়েছে।'
মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর টানটান নাটকীয়তা বজায় ছিল। সাংবাদিকদের কাছে নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ায় সেই নাটকীয়তা কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক জানিয়েছে, তিনি বিজেপির বিধায়ক বলে দিল্লিতে থাকার জায়গা পেয়েছেন। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও বলেছেন, 'বিজেপির হয়ে লড়াই করে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে সিপিএমকে হঠাতে চান।'