আজ, বৃহস্পতিবার একজন পুলিশ অফিসার আত্মঘাতী হয়েছেন থানার ব্যারাকে। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ সকালেই তাঁর ডিউটিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। থানার ব্যারাকে নিজের ঘরের মধ্যেই আত্মঘাতী হন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় ডিউটি সেরে থানার ব্যারাকে ফিরে আসেন। তারপর আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ডিউটিতে যোগ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় অন্যান্যদের। তখন তাঁর খোঁজে ব্যারাকে এসে নির্দিষ্ট করা ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সাব ইন্সপেক্টরের নাম পুষ্পেন ঘোষ (৪৬)। এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানায়। তিনি কয়েকদিন যাবত একটু অন্যমনস্ক ছিলেন। তবে আত্মহত্যা করবেন কেউ ভাবতে পারেননি। একসঙ্গে খাওয়া, গল্প করা সবই করে ব্যারাকে ফিরেছিলেন। তারপর আজ ডিউটিতে যোগ না দেওয়ায় সহকর্মীরা তাঁর ঘরে যান। সেখানে গিয়েই পুষ্পেনবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সহকর্মীরা। তখনই থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। আর সেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ডিউটি সেরে থানার ব্যারাকে চলে যান তিনি। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কাজ যোগ না দেওয়ায় তাঁর সহকর্মীরা ডাকতে গেলে দেখা যায় পুষ্পেন ঘোষ পুলিশ ব্যারাকের ঘরের মধ্যে ঝুলছে। তার পরিবার থাকে বর্ধমান শহরে। কি কারণে আত্মহত্যা করলেন? সেটা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যাকে ঘিরে শোকস্তব্ধ পুলিশ মহল। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন আউশগ্রাম থানার পুলিশ অফিসাররা।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে এই ঘটনা থেকে মানসিক অবসাদের তত্ত্ব মিলছে। গোটা ঘটনার বিষয়টি জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুষ্পেন বাবুর পরিবার বর্ধমানে থাকেন। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, ‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। কি কারণে কর্তব্যরত একজন এসআই আত্মঘাতী হলেন সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। জেলা পুলিশ তাঁর পরিবারের পাশে আছে।’ গতকাল রাতে তিনি খাওয়া–দাওয়া করেছিলেন। তারপর সকাল থেকে তাঁকে দেখা যায়নি। অনেকেই ভেবেছিলেন ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছেন পুষ্পেনবাবু। কিন্তু বেলা গড়াতেই চমকে ওঠা খবর সামনে আসে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup