মঙ্গলবার সন্ধ্য়াতেই হস্টেলের রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন মিনি ঘোষ। তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। এদিকে দীর্ঘক্ষণ ঘরের ভেতরেই তিনি। অন্যান্যরা ভেবেছিলেন ঘরের মধ্যে হয়তো বিশ্রাম নিচ্ছেন। এরপর বহুক্ষণ পরেও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় অনেকেরই। কলেজের অধ্যক্ষ সহ বিভিন্ন মহলে খবর যায়। সকলেই একে একে চলে আসতে শুরু করেন। বহুবার ডাকাডাকির পর দরজা খোলেননি ওই মেডিক্যাল পড়ুয়া। এরপর বাধ্য হয়েই দরজা ভাঙতে হয়। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় ঘরের সিলিং ফ্য়ান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন মিনি। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই মেধাবী পড়ুয়া? কেন এভাবে অসময়ে চলে গেলেন ওই মেডিক্যাল পড়ুয়া?
প্রাথমিকবাবে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু তার কারণ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর সহপাঠী, পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলতে চাইছে পুলিশ। আদতে মুর্শিদাবাদে কান্দির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বরাবরের ভালো ছাত্রী। তাঁর এই পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছেন না আত্মীয় বন্ধু বান্ধবরা।মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ জানিয়েছেন, মিনি কলেজের যে কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। ভীষণ মিশুকে ছিলেন। শান্ত স্বভাবের ছিলেন। তবে ইদানিং কিছুটা চুপচাপ থাকতেন। এদিকে ডাক্তারি ছাত্রীর মনের কোণে কেন জমা হয়েছিল অবসাদের আঁধার সেটাই জানার চেষ্টা করছেন সকলেই।