মোবাইলের স্ক্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। মোবাইলটিও ঠিকঠাক চলছিল না। বাবা মাকে মোবাইল সারানোর জন্য় অনুরোধ করেছিল মেয়ে। কিন্তু মেয়ের মোবাইল সারানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি গরিব বাবা মা। আর তাতেই অভিমানে আত্মঘাতী ধূপগুড়ির দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। মৃতের নাম অমৃতা সরকার। ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রী ডিএনআই হাই স্কুলে পড়ত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মা দীপালিকে সবজির দোকান চালাতে সহায়তা করত অমৃতা। বাবা হরিকৃষ্ণ দিনমজুরের কাজ করতেন। হরিকৃষ্ণর তিন মেয়ের মধ্যে সবথেকে ছোট এই অমৃতা। এদিকে সেদিন অমৃতা বাড়িতে একাই ছিল। দোকান থেকে বাড়ি ফিরে দীপালি দেখতে পান, ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে মেয়ে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিল অমৃতা? অমৃতার বাবা জানিয়েছেন, ওর মোবাইলটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বার বার সেটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি টাকার অভাবে সেটি সারাতে পারেনি। ওর মামাকে মোবাইলটা সারানোর জন্য বলেছিল। কিন্তু মামাও ঠিক করে দেয়নি। এরপরই বাড়ি ফিরে এসেছিল। মনে হয় সেকারণেই অভিমানে সে আত্মঘাতী হয়েছে।