চার কেন্দ্রের মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতা আসন ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। সেজন্য এবারে দলের প্রতি অনুগতদের টিকিট দিতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি এখনও চার কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে এবারে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচন।
গত বিধানসভা ভোটে ফল প্রকাশের পর রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কিছু ভুল ছিল, যা হয়ত মানুষ মেনে নেননি। এই একই কথার সুর শোনা গিয়েছে নতুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখেও। তিনিও দলের পুরনো কর্মী ও দলের অনুগত নেতা–কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এই চার কেন্দ্রে কাকে কাকে এখন টিকিট দেয়, এখন সেটাই দেখার।
তবে এবারের এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের বিষয় দুই কেন্দ্র শান্তিপুর ও দিনহাটা। এই দুই কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। এবারে যদি এই দুই কেন্দ্রে হেরে যায়, তাহলে আরও মুখ পুড়বে গেরুয়া শিবিরের। দিনহাটা কেন্দ্রে খুবই কম ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। যাঁকে হারিয়ে তিনি জিতেছিলেন, সেই উদয়ন গুহকেই ফের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি এখনও কাউকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিতে না পারলেও পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রাখা হয়েছে নিশীথকেই। এদিকে শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ব্রজকিশোর গোস্বামীর নাম ঘোষণা করলেও বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রার্থীর নাম জানানো হয়নি। তবে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ ও গত বিধানসভা ভোটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকেই।
কোনও কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও রাজ্য বিজেপির তরফে চার কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত বিশেষ টিম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি প্রার্থীর নামও নাকি ঘোষণা হয়ে যাবে। তবে আসন্ন চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন যে বিজেপির কাছে আরও চ্যালেঞ্জের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।