বাড়িতে আটকে দেওয়া হল বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জানা গিয়েছে, সুকান্তবাবুর নিউটাউনের বাড়ির সামনে গার্ডরেল বসিয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজকে সুকান্তবাবুর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল হাওড়ায়। সেই মতো তিনি নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন পুলিশ নাকি তাঁকে বের হতে বাধা দেয়। আজ সকাল ১১টায় মনসাতলায় বিজেপির পার্টি অফিসে যাওয়ার কথা ছিল সুকান্তবাবুর। তবে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় কিছু তাণ্ডবকারী। পার্টি অফিসের ভিতরের যাবতীয় নথি ও আসবাব পুড়ে গিয়েছে। এর পর পাশেই এক বিজেপি কর্মীর রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় তারা। রেস্তোরাঁর যাবতীয় আসবাব বাইরে বার করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানেও পৌঁছয় পুলিশ। ততক্ষণে এলাকা ছাড়ে হামলাকারীরা। এই সব ঘটনার মাঝেই আজ হাওড়ায় যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে পুলিশ শেষমেষ তাঁকে সেখানে যেতে দেয়নি।
এদিকে বৃহস্পতি, শুক্রের পর আজও হাওড়া থেকে হিংসার খবর মিলেছে। হিংসার জেরে আজকে উলুবেড়িয়া সাবডিভিশনে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। পাঁচলা ও জগৎবল্লভপুর থানা এলাকায় বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে ১৪৪ ধারা। এই আবহে আজ শান্তির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে তোপ দেগে এদিন মমতা টুইট করে লেখেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’
নবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হাওড়া। গত বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে হাওড়ায়। হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হিংসাত্মক বিক্ষোভ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।