আবার বঙ্গ–বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। বিজেপি বিধায়ক বনাম রাজ্য সভাপতির কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের লালবাগের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। কিছুদিন আগেও জেলা সভাপতিও ছিলেন তিনি। এই নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি দেখল মুর্শিদাবাদ। সুকান্তর জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে কোথাও দেখা যায়নি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষকে।
কেমন দেখা গেল বিধায়ক–রাজ্য সভাপতির কাজিয়া? এই ঘটনার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিজেপির সংগঠনই মূল কথা। বিজেপি হাজার হাজার জনপ্রতিনিধি তৈরি করে আবার তাদের তুলে ফেলেও দেয়। কে সাংসদ কে বিধায়ক, তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এমনকী কে এল, আর এল না তাতে কিছু এসে যায় না।’ চুপ করে থাকেননি মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষও। তিনি সুকান্ত মজুমদারকে সরাসরি ‘উচ্চশিক্ষিত, দাম্ভিক’ বলে তোপ দেগেছেন। কয়েক মাস আগেই রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন গৌরীশঙ্কর ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক? এই ঘটনার পর গৌরীশঙ্কর ঘোষ সরাসরি সুকান্ত মজুমদারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘উনি বিজেপির কতটুকু সংগঠন করেছেন আমার জানা নেই। তবে সংগঠক হিসাবে কেউ বলতে পারেন না জনপ্রতিনিধিকে তুলে ফেলে দেওয়া যায়। আসলে উনি প্রচুর শিক্ষিত তাই দাম্ভিকতা থেকেই এসব বলেছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এভাবে চলতে থাকলে আগামী তিন বছর সুকান্ত রাজ্য সভাপতির পদ ধরে রাখতে পারবেন না।’
উল্লেখ্য, পাঁশকুড়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপির জেলা সভাপতি একদিন আগেই দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার জন্য দলের সাতজন জেলার নেতাকে শোকজ করা হয়েছিল। এখন তাঁদের বহিষ্কার করার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যান্য জেলাতেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের কাজিয়া দলের সংগঠনে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।