হিংসা কবলিত শিবপুরে যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই মন্ত্রী অরূপ রায়কে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ। সুকান্ত দাবি করেন, শিবপুরে গিয়ে মার খেয়েছেন মন্ত্রী এবং তাঁর অনুগামীরা। এদিকে আজ প্রথমে পুলিশ বাধা দিলেও পরে শিবপুরে গিয়ে হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। পরে অবশ্য হিংসার উৎসস্থলের কাছে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। (আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া আরও সহজ হল, বড় নিয়ম বদল করল রাজ্য সরকার)
এদিন পুলিশ প্রথমে সুকান্তকে জানায়, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর কথা কাটাকাটি শুরু হয় পুলিশ কর্তা এবং সুকান্তর। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত প্রশ্ন তোলেন, মন্ত্রী অরূপ রায়কে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হলে তাঁকে কেন আটকানো হবে। তিনি বলেন, 'অরূপ রায়ের কাছে কি অতিরিক্ত সাংবিধানিক অধিকার আছে? আমার যাওয়ার জন্য যদি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে মন্ত্রীর বেলাও ছিল। তিনি কী ভাবে গেলেন? মন্ত্রী মার খাচ্ছেন। কাল ওঁর গাড়ি ভেঙেছে। ওঁর লোকজন মার খেয়েছেন। মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁর হাত কেটেছে কী ভাবে? পেঁয়াজ কাটছিলেন?'
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সমান ডিএ এই রাজ্যে, 'এগিয়ে বাংলা...', শুভেচ্ছা বার্তা শুভেন্দুর
এদিকে শিবপুরে গিয়ে হিংসায় জখম অঙ্কিত রানা এবং গৌরব দাসকে দেখেন সুকান্ত মজুমদার। এলাকার একটি শীতলা মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পরে শীতলা মন্দিরের সামনে ফের সুকান্তকে বাধা দেয় পুলিশ। সুকান্ত পুলিশের বিরুদ্ধে তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেন, 'তৃণমূল পুলিশকে নিজেদের ক্যাডারদের মতো ব্যবহার করছে। এখানে অনেক বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাদের এক কর্মীর বাবাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে তাঁর বাবাকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই এলাকায় আহত প্রচুর মানুষ এখনও আমাদের ফোন করে সাহায্য চাইছেন।' এরপর সুকান্ত রাজ্যপাল এবং সিপির সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। বিজেপি নেতা বলেন, 'আমি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই গোটা বিষয়টি বলব। তিনি এখন দার্জিলিংয়ে আছেন। ফিরলেই দেখা করে সব বলব। এদিকে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। অথচ তৃণমূল নেতারা দিব্যি এই এলাকায় যাতায়াত করে বেড়াচ্ছেন। এখন আমি সিপির কাছে যাব।'