রাজ্যে ৪ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে বিজেপির ভাঁড়ার শূন্য। বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ ও মানিকতলা, ৪টি আসনেই উড়েছে ঘাসফুলের ঝান্ডা। মাস খানেক আগে প্রকাশিত লোকসভা নির্বাচনের ফলকে উলটে দিয়ে একাধিক আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। তার পরই উপ নির্বাচনকে প্রহসন বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন - আবার কি শপথ জটিলতা? স্পিকারকে দায়িত্ব দিতে অনুরোধ করে রাজ্যপালকে চিঠি রাজ্যের
পড়তে থাকুন - ২১ জুলাই 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করবে BJP, ২২ জুলাই CESC অভিযান
তিনি বলেন, ‘ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। একে কি গণতন্ত্রের জয় বলা যায়। এক একটি বুথে বিজেপি ৪ – ৫টি করে ভোট পেয়েছে। তাহলেই বুঝে নিন কী ভোট হয়েছে। মানুষ তো গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগই করতে পারল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে চান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’
সুকান্তবাবু আরও বলেন, ‘সাধারণ বাংলায় উপ নির্বাচনে শাসকদলই জেতে। কিন্তু নির্বাচনকে যে ভাবে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে তা গণতন্ত্রের লজ্জা। তবে ২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ফল থাকবে না। দেখবেন, তৃণমূলের ব্যবধান কমবে। যারা সবুজ আবির মেখে লাফালাফি করছে তারা সব উবে যাবে। তৃণমূল সরকার রাজ্যকে এক বিপজ্জনক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।’
শনিবার রাজ্যের ৪টি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। ৪টি আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ আসন বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মানিকতলা আসনটি ধরে রেখেছে তারা। এর মধ্যে রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জের বিধায়ক দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে তাঁদের। এর পর ফের ওই আসন থেকেই বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁরা। এই ২ কেন্দ্রেই লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন - তৃণমূলকে ভোট না দিলে কেটে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
বাগদা কেন্দ্রটিও ছিল বিজেপির দখলে। সেখানকার বিধায়কও ভোটের পর তৃণমূলে যোগদান করেন। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হলেও দল তাঁকে বিধানসভা উপ নির্বাচনে টিকিট দেয়নি। বদলে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে টিকিট দেয় তৃণমূল। তিনি ওই আসনে জয়ী হয়েছেন। মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডে। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল সামান্য ভোটে এগিয়ে ছিল। বিধানসভা উপ নির্বাচনে সেখানে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন সুপ্তি।