পুরভোটের রণকৌশলের আঁচ, নমিনেশন জমা দেওয়ার সময় কারা থাকবেন, জানালেন সুকান্ত

সুকান্তর এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, দলের ঘরোয়া কোন্দল মেটানোর জন্য তিনি জলপাইগুড়িতে এসেছেন।

সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্য় সভাপতি

উপনির্বাচন মিটে গেলেই রাজ্য জুড়ে বাজতে পারে পুরভোটের দামামা। এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। এদিকে সদ্য রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসে বঙ্গ সফরে বেরিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এবার পুরনির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর দাবি, বিধায়ক, সাংসদদের নিয়ে দল বেধে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন প্রার্থীরা। জলপাইগুড়িতে এই পরামর্শই দিলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুরসভা নির্বাচনের জন্য দল তৈরি হচ্ছে। যেভাবে আর পাঁচটা দল তৈরি হয় সেভাবেই তৈরি হবে। তবে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এনিয়ে বাইরে কিছু বলব না। গতবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। তবে এখন সেই বিজেপি নেই। এখন ৭৭জন এমএলএর বিজেপি। ১৮জন এমপির বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস যদি ভেবে থাকে এরকম কিছু করবে তবে তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। সামনেই পুরসভা ভোট। আমরা গতবারেও ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। এবারও ভালো রেজাল্ট হবে।

এরপরই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের বিধায়ক, সাংসদরা থাকবেন। নমিনেশনের সময় যদি সমস্যা হয় তবে সাংসদ, বিধায়করা লড়াই করবেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা  অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করব। এদিকে সুকান্তর এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, দলের ঘরোয়া কোন্দল মেটানোর জন্য তিনি জলপাইগুড়িতে এসেছেন। তবে তৃণমূলের পুরভোটের আগে কোনও প্রস্তুতির দরকার নেই। তৃণমূল সারাবছর মানুষের পাশে থাকে।