আজ, বৃহস্পতিবার নদিয়ায় জনসভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেখান থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দিকে। আর তখন কুল মেজাজে ক্যারম খেলতে ব্যস্ত সাংসদ। বিজেপির আক্রমণকে কোনও পাত্তাই দিলেন না তিনি। বরং বুঝিয়ে দিলেন, ওসব হাঁকডাকই সার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে হারাতে পারবে না বিজেপি। যদিও এই আসনটি তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সভাপতি? আজ, বৃহস্পতিবার বেথুয়াডহরিতে সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এখানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী–সহ অন্যান্য নেতারা। প্রচারে নেমে সকলের মুখেই শোনা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কথা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে হারাতেই এককাট্টা নড্ডা, শুভেন্দু, সুকান্ত। জেপি নড্ডার কথায়, ‘আপনারাই বলুন, লোকসভা নির্বাচনে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না? সমস্ত দুর্নীতি থেকে মুক্তির পথ এই পদ্ম। আপনারা পদ্মে ভোট দিন। আমরা চোরদের জেলে ভরব।’ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটাই ভোকাল টনিক বিজেপির।
আর মহুয়া তখন কী করছিলেন? জেপি নড্ডা থেকে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার–সহ নেতারা যখন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করছেন, তখন ২৬ কিলোমিটার দূরে চাপড়া বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঠিক ক্যারামের ঘুঁটি পকেটবন্দি করতে দেখা গেল মহুয়া মৈত্রকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ এলাকার সমস্যার কথা সংসদে বলেন না। তাই ২০২৪ সালে সুদে আসলে সেই হিসাব নেবেন এলাকার মানুষ। আর প্রাক্তন করে দেওয়া হবে।’ গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরে খারাপ ফল হওয়ায় সেই জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি।
ঠিক কী বলছেন এলাকার সাংসদ? এই নিয়ে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে প্রশ্ন করা হয় তখন সংবাদমাধ্যমকে সাংসদ বলেন, ‘আমি ঘরের মেয়ে। আমার কিছু প্রমাণ করার নেই। তাই ক্যারামে ব্যস্ত ছিলাম।’ যদিও গলা চড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ‘কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদীজিকে উপহার দেব।’ গত লোকসভায় হেরে যাওয়া ২৪টি আসনে পালা করে সভা করার কথা অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডার বলে সূত্রের খবর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup