বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Sukanya Mondal: মুখে কালো মাস্ক পরে ইডি দফতরে সুকন্যা মণ্ডল, অবশেষে দিলেন হাজিরা

Sukanya Mondal: মুখে কালো মাস্ক পরে ইডি দফতরে সুকন্যা মণ্ডল, অবশেষে দিলেন হাজিরা

সুকন্যা মণ্ডল হাজিরা দিয়েছেন ইডি অফিসে।

গত ২৮ অক্টোবর তাঁকে প্রথমবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। সুকন্যা মণ্ডল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাই হাজিরা দিতে পারবেন না। তারপরেই তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। কারণ দ্বিতীয়বার নয়াদিল্লিতে তাঁকে তলব করে ইডি। সেই তলবে তিনি হাজিরা দিতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

সাড়া দেবেন বলেছিলেন। সেই কথা রাখলেন কেষ্ট–কন্যা। আজ, বুধবার নয়াদিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর মুখ কালো মাস্কে ঢাকা ছিল। এদিন সুকন্যা মণ্ডল হাজিরা দিয়েছেন ইডি অফিসে। গরুপাচার কাণ্ড মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। প্রথমবার তিনি সেই ডাকে সাড়া না দিলেও দ্বিতীয়বারে সাড়া দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। ২ নভেম্বর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি।

কেমন বেশে গেলেন সুকন্যা?‌ আজ, বুধবার সকালে তাঁকে দেখা গেল, সবুজ রঙের সালোয়ার কামিজ আর মুখে কালো মাস্ক পরে নয়াদিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দেন কেষ্ট–কন্যা। সুকন্যার হাজিরার ৫০ মিনিট আগেই নযাদিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর বাংলা থেকে তদন্তকারী ইডি অফিসাররা নযাদিল্লিতে উপস্থিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর তাঁকে প্রথমবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। সুকন্যা মণ্ডল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাই হাজিরা দিতে পারবেন না। তারপরেই তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। কারণ দ্বিতীয়বার নয়াদিল্লিতে তাঁকে তলব করে ইডি। সেই তলবে তিনি হাজিরা দিতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সুকন্যা মণ্ডল পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ২০১৫ সালের পরে অনেকটা বেড়েছে। বোলপুরের ‘ভোলেবোম’ চালকলের যৌথ মালিকানায় তাঁর নামে আছে। আবার দু’টি সংস্থার তিনি ডিরেক্টর। ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট আছে। এই সম্পত্তির উৎস কী?‌ জানতে চেয়ে সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সুকন্যাকে তলব করে তারা।

আর কী জানা গিয়েছে?‌ গরুপাচার মামলার তদন্ত শুরু করতেই বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান সিবিআই অফিসাররা। উঠে আসে ভোলেব্যোম রাইস মিল চালকলের নাম। তারপর তদন্তকারীদের সামনে উঠে আসে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড এবং নীড় ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থার নাম। এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে আছেন সুকন্যা মণ্ডল।

বন্ধ করুন