মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিনের সফরে হিঙ্গলগঞ্জ এবং সুন্দরবনে এসেছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু সাধারণ মানুষ সরকারি বাস পরিষেবার অনুরোধ করেছিলেন। তখন তিনি সেই গ্রামীণ মানুষজনকে কথা দিয়েছিলেন, শীঘ্রই মিলবে। সেটা যে এত শীঘ্র মিলবে তা কল্পনাও করতে পারেননি সুন্দরবনের বাসিন্দারা। কিন্তু কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের তিনদিনের মধ্যেই সরকারি বাস পরিষেবা পেলেন সুন্দরবনবাসী।
ঠিক কী ঘটেছে সুন্দরবনে? মুখ্যমন্ত্রী এই কথা দেওয়ার পর তাঁর নির্দেশেই সুন্দরবন পেল সরকারি বাস পরিষেবা। তিনদিনের মধ্যে দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি জঙ্গল লাগোয়া সমুদ্র পাড়ের বাসিন্দারা। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বনবিবি মাঠে প্রান্তিক মানুষজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি সরকারি বাসের জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। সুন্দরবন সফরে এসে ২৯ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে ওই সরকারি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, দ্রুত একটি নতুন সরকারি বাস পরিষেবা দেওয়া হবে। তিন দিন কাটতে না কাটতেই নতুন সরকারি বাস পেল সুন্দরবন।
বাসটির রুট ঠিক কী হয়েছে? সরকারি সূত্রে খবর, এই সরকারি বাস হেমনগর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১০৩ কিলোমিটার দূরত্বে পরিষেবা দেবে। আজ, শুক্রবার থেকে সেটা চালুও হয়ে গেল। যা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জঙ্গলের লাগোয়া পাড়ের বাসিন্দাদের। এই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে সুন্দরবন এবং কলকাতার যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে গেল। এখন সেখানকার বাসিন্দারা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য দ্রুত পৌঁছতে পারবেন। আবার বিনোদনের জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে খুব সহজে পর্যটকরা যেতে পারবেন বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নতুন বাস পরিষেবা পেয়ে রীতিমতো খুশি সুন্দরবনের বাসিন্দারা। তাও এত তাড়াতাড়ি পরিষেবা পেয়ে তাঁরা বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যেন ঘরের দিদি’। প্রায় দু’লক্ষ মানুষ এই সরকারি বাসের পরিষেবা পাবেন। এদিনের বাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তুষার মণ্ডল, পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ গাজি এবং জয়নাল আবেদিন–সহ সরকারি অফিসাররা। এই সরকারি বাসের পরিষেবায় শহরের বাসিন্দারাও বারাসাত থেকে পাঁচ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন সুন্দরবনের জঙ্গলে।