বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করছে। এর জেরে শনিবার থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড়ো হাওয়ার দাপট। এই আবহে আতঙ্ক বাড়ছে সুন্দরবনবাসীর। এদিকে দিঘাতেও জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে গতকাল থেকেই।
1/4নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী অঞ্চলের একাধিক জায়গার নদী বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমি। প্রতীকী ছবি
2/4নিম্নচাপের জেরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকে করে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করার কাজ চালানো হচ্ছে। এদিকে সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতেও মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য দফতর। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
3/4পূর্ণিমার কোটালে প্লাবিত গঙ্গাসাগর মন্দির প্রাঙ্গণ। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকেরাও। এদিকে দিঘাতে ক্রমেই বাড়ছে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে। সমুদ্রের গার্ডওয়ালের পাশে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। নিম্নচাপের জেরে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ৩৫ থেকে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
4/4ঝড়খালি, গোসাবা, সুন্দরবন উপকূল সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে এলাকার মানুষজনকে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ব্লক ও মহকুমা স্তরে। সমগ্র এলাকার উপর নজরদারী রাখছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। আগামী কয়েকদিন কোনও জলযানকে চলাচলে অনুমতি দেওয়া হবে না বন দফতরের তরফ থেকে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)