শুভেন্দুর হাত ধরে অমিত শাহের জনসভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তবে সোমবার সুনীল মণ্ডল দাবি করেন যে তিনি কোনও দিন বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেননি। আর সুনীল মণ্ডলের এই ভোলবদলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বর্ধমান জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রায়। তিনি সাংসদকে 'ধান্দাবাজ' আখ্যা দেন। পাশাপাশি দাবি করেন এমন নেতাদের জন্যে নির্বাচনে হারতে হয়েছে দলকে।
বিজেপি নির্বাচনে হারার পর থেকেই সুর বদল করেছিলেন সুনীল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়েও দেখা করে আসেন সুনীল মণ্ডল। এই আবহে সোমবার সংসদে পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সংসদে। পাশে ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। সুনীলের বক্তব্য, আমি তৃণমূল কংগ্রেসেই আছি। আমি তো তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে চিরকালই ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই কাজ করছি।
এদিকে সুনীলের এই মন্তব্যের পরই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি নেতা শ্যাম রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'উনি এক জন চিটিংবাজ, ধান্দাবাজ লোক। ভোটের আগে সুবিধা ভোগ করতে বিজেপি-তে এসেছিলেন। এঁদের মতো লোকের জন্যই নির্বাচনে হারতে হয়েছে দলকে। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, এরম লোকেরাও তেমনই ভাবে ক্ষমতার মধু ছাড়া বাঁচতে পারে না। ভোটের আগে এঁদের জ্ঞান শুনতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝুক এবারে।'
এদিকে এই বিষয়ে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘কারও দলে ফেরা ঠিক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’